উদ্যোগী মন্ত্রণালয়/বিভাগ |
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় |
বাস্তবায়নকারী সংস্থা |
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, কোটবাড়ী, কুমিল্লা |
বাস্তবায়নকাল |
জুলাই, ২০২৩- জুন, ২০২৬ |
বাজেট |
৪৭,০০,০০০.০০ টাকা (০৩ বছরে সর্বমোট সাত চল্লিশ লক্ষ টাকা মাত্র) |
অর্থায়নের ধরণ ও উৎস |
বার্ডের রাজস্ব বাজেট |
প্রকল্প পরিচালক-এর নাম ও পদবি |
সাইফুন নাহার, যুগ্ম-পরিচালক (পল্লী অর্থনীতি), প্রধান প্রায়োগিক গবেষক |
প্রকল্পের/ প্রায়োগিক গবেষণার পটভূমি:
দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অভিলাষি একটি গ্রামবহুল দেশ বাংলাদেশ । বাংলাদেশের প্রায় ৭০% মানুষ গ্রামে বসবাস করে এবং তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দারিদ্র্যের শিকার। দারিদ্র্য দূরীকরণে শহর ও গ্রামে আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও অর্জনের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা ও অংশীদারিত্ব উন্নয়নের বিষয়টি রাষ্টীয়ভাবে এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। উন্নয়নের মূলস্রোতে নারী সম্পৃক্তির বিষয়টি National Policy for Women’s Advancement -এ স্পষ্ট ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী ও এক পঞ্চমাংশ কিশোর-কিশোরী । আমাদের দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যেও নারীরা আলাদাভাবে বিশেষ মাত্রায় দারিদ্র্যের শিকার । আয়- দারিদ্র্য ও পুষ্টিগত অবস্থার ক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্য বিদ্যমান। চরম দারিদ্র্যের হার নারী-প্রধানবিশিষ্ট, নারী-পরিচালিত এবং নারী-পোষিত খানাগুলোতে তুলনামূলকভাবে বেশী । পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকদের আয় অনেক কম। নারীদের গড় ভোগ যে কম তা তাদের চরম অপুষ্টি, মৃত্যুহার এবং রুগ্নতার তীব্রতা থেকে প্রতীয়মান হয় । আয়-দরিদ্র, মানবদরিদ্র হ্রাসে ও শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি পরিলক্ষিত হলেও সমস্যা এখনও বিদ্যমান। মানব দারিদ্র্যকে তিনটি প্রধান মাত্রায় বিবেচনা করা যায়: (ক) মানসম্মত ও টেকসই শিক্ষাগত বঞ্চনা (খ) স্বাস্থ্যগত বঞ্চনা এবং (গ) পুষ্টিগত বঞ্চনা (খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাসহ)। তাছাড়া এ সকল ক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে। অনুর্ধ পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে শিশুদের মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে বেশী। National Policy for Women’s Advancement-NSAPR-2009-11,:24)| বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনায় সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ মহিলাদের দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষি বর্হিভূত খাতে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের দরিদ্র ও দুঃস্থ মহিলাদের দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন একটি গুরুত্বর্পূণ ইস্যু (Seventh Five Year Plan, 2015, Part-2) |
অধিকার সুপ্রতিষ্ঠা ও জেন্ডার উন্নয়ন
গ্রামীণ নারী এবং শিশুদের সমস্যা বহুমুখী। পল্লী অঞ্চলে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, যৌতুকপ্রথা, গর্ভকালীন নির্যাতন, আত্মহত্যা ও শিশু নিপীড়ন, মাদকাশক্তি ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট নির্যাতনের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। গ্রামে ধনী পরিবারগুলোতে বাল্যবিবাহ ও যৌতুক লেনদেন ইত্যাদি নির্যাতনের চর্চা রয়েছে। গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা অনিচ্ছাকৃতভাবে যৌতুকের শিকার। তাছাড়া এগুলোতে নারী ও শিশু নিপিড়নের ঘটনা বিদ্যমান। তাই পল্লী অঞ্চলে বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্ভুত সমস্যা মোকাবেলার জন্য এবং জেন্ডার অধিকার চর্চা, সমাজে নির্যাতনের শূন্য সহনীয় অবস্থানের পরিবেশ তৈরীর জন্য প্রয়োজন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সচেতনতার জন্য জীবনমুখী, টেকসই ও অগ্রসর আইনী শিক্ষা।
ফলে তাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ, আয় উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি নারী ও শিশুর অধিকার সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি উন্নয়নের জন্য চাহিদামত বিভিন্ন পরীক্ষামূলক কর্মসূচী অতীব প্রয়োজন। বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নারী শিক্ষা উন্নয়ন, তহবিল বৃদ্ধি, বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান, ব্যবসায় নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ইত্যাদির মাধ্যমে নারীর পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কাজ করছে। ফলে প্রতি বৎসর দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তথা অর্থনৈকতক প্রবৃদ্ধিতে নারীর অংশগ্রহণ ক্রমাগত বাড়ছে, যা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবধিান এবং সিডও (C.E.D.A.W.) দলিলের ভিত্তিতে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে। মূলতঃ নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় এবং আর্ন্তজাতকি নীতি কৌশলের আলোকে প্রণীত হয়েছে নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১। এ নীতির বাস্তবায়নকল্পে প্রণীত হয়েছে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা, ২০১৩। উক্ত নীতি ও কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী প.উ.স বিভাগের করণীয়সমূহ নিম্নরুপ:
হতদরিদ্র্য নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে (Safety Nets) অর্ন্তভুক্ত করা;
দরিদ্র নারীর শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে তাদের সংগঠিত করা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র নারীকে উৎপাদনশীল কর্মে এবং অর্থনৈতিক মূলধারায় সম্পৃক্ত করা;
বিশুদ্ধ নিরাপদ পানীয় জল ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় নারীর প্রয়োজনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া;
সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার উচ্চ র্পযায়ে উল্লখেযোগ্য সংখ্যক নারী নিয়োগ করা।
এছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত National Action Plan for Women’s Advancement: Implementation of the Beijing Platform for Action ( NAPWA- PFA) - পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানকে কৌশলগত উদ্দেশ্য, মিশন, পরিমাপক ও কার্যাবলীর আলোকে কিছু সংখ্যক সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে | এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
কার্যক্রম-১: মহিলা বিশেষত্ব দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বার্থ ও চাহিদা বিবেচনায় পদক্ষেপ গ্রহণ ও জেন্ডার পলিসি অনুসরণ;
কার্যক্রম-৭: জেন্ডার বাজেট নীতির আলোকে রাজস্ব ও উন্নয়ন উভয় বাজেটে মহিলাদের জন্য বরাদ্দ আলাদাভাবে প্রদর্শন;
কার্যক্রম-১২: গ্রামের সংগঠনভুক্ত ও নির্বাচিত সুবিধাভোগীদের জন্য নেতৃত্ব বিকাশ ও ব্যবস্থাপনাগত প্রশিক্ষণ আয়োজন;
কার্যক্রম-১৫: উৎপাদন দক্ষতা ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে মহিলা সুবিধাভোগীদের জোড়ালো প্রশিক্ষণ ও যথোপযুক্ত প্রযুক্তি প্রদান;
কার্যক্রম-২২/২৪: মহিলা সুবিধাভোগী ও কন্যা সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগ গ্রহণ (Initiatives);
কার্যক্রম-২৪: বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনসমূহের সাথে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি এবং সংযোগ স্থাপন।
বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রাম শহরের ব্যবধান হ্রাসের লক্ষ্যে গ্রামকে সকল উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলতে গ্রামে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্প্রসারনের জন্য উপযুক্ত প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনা করা। তাছাড়া গ্রামের দরিদ্র্য মহিলা বিশেষত দুঃস্থ ও সুবিধা বঞ্চিত নারীদের জন্য জীবন মুখী ও টেকসই শিক্ষা, নেতৃত্ব বিকাশ, সংগঠন ব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতায়ন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী ও উৎপাদন দক্ষতা উন্নয়নমূলক জোড়ালো প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সামাজিক ও জেন্ডার উন্নয়ন সংক্রান্ত ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা। বর্তমান প্রায়োগিক গবেষণাটিতে এ সকল দায়িত্বসমূহের সফল বাস্তবায়নের সুর্নিদিষ্ট কাঠামো রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে পরিমার্জিত প্রস্তাবিত গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে টেকসই শিক্ষা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন শীর্ষক প্রয়োগিক গবেষণা প্রকল্পটির মাধ্যমে নারীদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়ন, অধিকার সুপ্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতায়ন সম্ভব হবে।
প্রকল্পের/ প্রায়োগিক গবেষণার মূল উদ্দেশ্য:
গ্রামীণ নারীদের বিশেষতঃ সুবিধা বঞ্চিত ও দারিদ্র্য পীড়িত পরিবারের নারীর অর্ন্তভূক্তিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের মূল-স্রোতধারায় সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি এবং টেকসই শিক্ষার মাধ্যমে আত্ম-সক্রিয়তা অর্জন ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা উন্নয়নপূর্বক দারিদ্র্য নিরসনের লক্ষ্যে আয়, উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রত্যাশিত মূল্যবোধ ও অধিকার সুপ্রতিষ্ঠায় আইনগত সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নসহ মৌলিক ও মানবিক অধিকারসমূহ সমন্বিতভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের জীবনের সার্বিক মানোন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন।
প্রকল্পের বিশেষ উদ্দেশ্যগুলো হলো:
(ক) সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে গ্রামীণ নারী ও তরুণীদের দলীয় সক্ষমতা ও নেতৃত্বের উন্নয়ন সাধনে সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নারীর ক্ষমতায়ন;
(খ) পল্লী নারী ও তরুণীদের কার্যকর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা এবং আত্মনির্ভশীলতা অর্জনে পুঁজি গঠন, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, কম রেটে ঋণ আদায় এবং লভ্যাংশ বন্টনের ব্যবস্থা করা;
(গ) নারী উদ্যোক্তাদের আয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে দৃশ্যমান রিসোর্স সেন্টার ও প্রদর্শনী কেন্দ্র গঠন এবং পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও বিপননে ই-কমার্স প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং-এ সংযোগ স্থাপনে সহায়তা প্রদান করা;
(ঘ) ব্যক্তি, পরিবার এবং কম্যুনিটি পর্যায়ে প্রত্যাশিত মূল্যবোধ ও অধিকার সুপ্রতিষ্ঠা, জেন্ডার বৈষম্য ও নির্যাতন প্রতিরোধ, নিরাপদ মাতৃত্ব, স্বাস্থ্যপুষ্টি ও পরিবেশ উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ক অংশগ্রহণধর্মী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা ; এবং
(ঙ) বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা থেকে লাগসই প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা সহজীকরনে উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার এবং পরিষেবা প্রাপ্তিতে কার্যকর নেটওয়ার্ক স্থাপন করা।
প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার মূল কম্পোনেন্টসমূহ:
নারী সংগঠন, কৃষিজ সেক্টর, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম, আইজিএ, অকৃষিজ ব্যবসা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম (পুঁজি গঠন, শেয়ার, সঞ্চয়, উদ্যোগ গ্রহন)
প্রকল্প এলাকা
কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও বরুড়া উপজেলার ২৪টি গ্রাম।
গ্রামীণ উন্নয়নে প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণা কার্যক্রমের প্রভাব ও গুরুত্ব:
প্রকল্পটি বার্ড পরিচালিত মহিলা, শিক্ষা, আয় ও পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং জেন্ডার রাইটস অপারেশন এন্ড ভায়োলেন্স এলিমিনেশন (GROVE) প্রকল্পের অভিজ্ঞতার আলোকে কার্যক্রম পরিমার্জন করে ২৪টি গ্রামে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের মূল স্পিরিট Diligence, Self help, Cooperation যা ৮০’র দশকে তৎকালীন দেশটির নারী, পুরুষ, শিশু নির্বিশেষে সকলকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সামিল করে দেশটির সামগ্রিক চিত্র পাল্টে দিয়েছিল, বর্তমান প্রস্তাবিত প্রায়োগিক গবেষণাটি গ্রামীণ নারীদের সেই স্পিরিট বা মূল্যবোধ উন্নয়নে সার্বিক সহায়তা করবে। বাংলাদেশ বর্তমানে ’ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট’ অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। যে কারণে উন্নয়নের সুবর্ণ সুযোগ হাতছানি দিয়ে ডাকছে। একটি জাতির জীবনে এই অবস্থা একবারই আসে। যারা এই অবস্থার সুযোগ কাজে লাগাতে পারে তারাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারে (এলডিসি থেকে উত্তরণ উপলক্ষে অয়োজিত সেমিনার, উন্নয়নের গতিধারায় বাংলাদেশঃ প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও সম্ভাবনা: ২৪ মার্চ ২০১৮)। এই ধারনা থেকে বর্তমান প্রায়োগি নারী জনগোষ্ঠী ও তাদের পরিবারের শিশুদের উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।